টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ব্যাট-বল হাতে আলো ছড়ালেন যারা

|

ছবি: সংগৃহীত

পর্দা নেমেছে আইসিসি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের। এবারের বিশ্বকাপে দেখা গেছে বোলারদের দাপট। যুক্তরাষ্ট্রের বোলিং ফ্রেন্ডলি পিচে ব্যাটারদের শাসন করেছেন বোলাররা। তবে খুব একটা পিছিয়ে নেই ব্যাটাররাও। ওয়েস্ট ইন্ডিজে চলেছে ব্যাটারদের রাজত্ব। চলুন জেনে নেই এবারের বিশ্বকাপে ব্যাট ও বল হাতে আলো ছড়িয়েছেন কারা। 

শীর্ষ ব্যাটারের তালিকায় সবার উপরেই রয়েছেন আফগান ব্যাটার রহমানউল্লাহ গুরবাজ। ৮ ম্যাচে ৩৫.১২ গড়ে ২৮১ রান করেছেন তিনি। ২য় অবস্থানে রয়েছেন বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক রোহিত শর্মা। সমান সংখ্যক ম্যাচ খেলে তার রানের সংখ্যা ২৫৭। ৭ ম্যাচে ২৫৫ রান করে তালিকায় ৩য় অবস্থানে অজি ওপেনার হেড।

দক্ষিণ আফ্রিকাকে ফাইনালে তোলা কুইন্টন ডি ককের রান ৯ ম্যাচে ২৪৩, গড় ২৭। ৫ নাম্বারে আছেন আরেক আফগান ব্যাটার ইব্রাহিম জাদরান। তার রানের সংখ্যা ২৩১।  জাদরানের পরেই রয়েছেন তালিকায় জায়গা পাওয়া একমাত্র ক্যারিবিয়ান ব্যাটার নিকোলাস পুরান। তিনি করেছেন ৭ ম্যাচে ২২৮ রান।

প্রথমবারের মতো সবাইকে চমকে গিয়ে সুপার এইটে জায়গা করে নেয়া যুক্তরাষ্ট্রের আন্দ্রিস গস ও জায়গা পেয়েছেন এই তালিকায়। ৬ ম্যাচে তার রান ২১৯, গড় ৪৩.৮০ যা তালিকার সবার চেয়ে বেশী।

৮ নাম্বারে আছেন ইংলিশ অধিনায়ক জস বাটলার। ৭ ইনিংসে তার রান ২১৪। ১৯৯ রান করে ৯ নাম্বার অবস্থানে আছেন ভারতের সুরিয়া কুমার যাদব। শীর্ষ রান সংগ্রহকের তালিকায় ১০ নাম্বারে আছেন প্রোটিয়া ব্যাটার হেনরিখ ক্লাসেন, ৮ ইনিংসে তার রান ১৯০।

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ২০২৪ এ সর্বোচ্চ উইকেট নিয়েছেন যৌথভাবে আফগানিস্তানের ফজলহক ফারুকি ও ভারতের আর্শদ্বীপ সিং। দুজনেই সমান ১৭টি করে উইকেট নিয়েছেন। তারপরেই আছেন ভারতীয় পেসার জাসপ্রীত বুমরাহ। এবারের বিশ্বকাপে ৮ ইনিংসে বল করে ১৫ উইকেট শিকার করেছেন বুমরাহ। বিশ্বকাপে তার ইকোনমি ছিলো মাত্র ৪.১৭ এবং ম্যাচপ্রতি গড়ে রান দিয়েছেন মাত্র ৮.২৬। একারণেই টুর্নামেন্ট সেরার পুরস্কার উঠেছে বুমরাহর হাতে। সমান ১৬ টি উইকেট পেয়েছেন দক্ষিণ আফ্রিকাকে ফাইনালে তোলা আনরিখ নরকিয়া ও। 

প্রথমবারের মতো আফগানিস্তানকে সেমিফাইনালে তোলা রাশিদ খান ৮ ম্যাচে পেয়েছেন ১৪ উইকেট। অন্যদিকে ১ ম্যাচ কম খেলে বাংলাদেশের লেগ স্পিনার রিশাদ হোসেন ও শিকার করেছেন ১৪ উইকেট। ১৩ টি করে উইকেট পেয়েছেন যথাক্রমে আফগানিস্তানের নাভিন উল হক, দক্ষিণ আফ্রিকার কাগিসো রাবাদা, অস্ট্রেলিয়ার অ্যাডাম জাম্পা এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজের আলজারি জোসেফ।

৭ ম্যাচ খেলে বাংলাদেশের তরুন পেসার তানজিম হাসান সাকিব নিয়েছেন ১১ টি উইকেট। সমান সংখ্যক ম্যাচ খেলে সমান সংখ্যক উইকেট নিয়েছেন ক্যারিবিয়ান বোলার আন্দ্রে রাসেল। ১ ম্যাচ বেশী খেলে সমান ১১ টি উইকেট নিয়েছেন প্রোটিয়া বোলার কেশব মহারাজ।

/আরআইএম


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply