গাজীপুর প্রতিনিধি
টঙ্গীর ইজতেমা ময়দানে শনিবার জোড় ইজতেমাকে ঘিরে দুপক্ষের সংঘর্ষে হতাহতের ঘটনার পর মুসুল্লীদের ফেলে যাওয়া মালপত্র বিতরণে নয় সদস্যের এক কমিটি গঠন করা হয়েছে। গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার ওয়াই এম বেলালুর রহমান রোববার সকালে ওই কমিটি গঠন করেন।
গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-কমিশনার মো. শরীফুর রহমান জানান, কমিটিতে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-কমিশনার মো. হানিফকে প্রধান করে ৯সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিতে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র ও জেলা প্রশাসকের প্রতিনিধি ছাড়াও টঙ্গী পূর্ব ও পশ্চিম থানার ওসি এবং সাদ পন্থী ও জোবায়ের পন্থীর দুই প্রতিনিধি রয়েছেন। পরিচয়পত্র ও প্রমাণ নিশ্চিত করে মুসুল্লীদের মালপত্র সরবরাহ করা হবে।
রোববার দুপুরে ইজতেমা ময়দানে মালামাল নিতে আসা জোবায়ের পন্থী মুসুল্লী টঙ্গীর পূর্ব আরিচপুরের সোহেল খান বলেন, শনিবার দুপুরে জোহরের নামাজের প্রস্তুতি নিচ্ছি এমন সময় সাদ পন্থী মুসুল্লীরা ইজতেমা ময়দানে ঢুকে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। এ সময় মালপত্র ফেলে রেখে আমিসহ অন্যরা প্রাণ বাঁচাতে মাঠ ত্যাগ করে চলে যাই। সোমবার নিজেদের পরিচয় নিশ্চিত করে আইনশৃঙ্খলা সদস্যের মাধ্যমে আমাদের মালপত্র বুঝে পেয়েছি। আমি চাই এ বিভেদ ভুলে মুসুুল্লীরা আগের মত শান্তিপূর্ণভাবে ইজতেমায় অংশ গ্রহণ করুন।
ঢাকার কুড়িল থেকে আসা অপর মাদ্রাসা ছাত্র আলামিন বলেন, শনিবার আমি একটি মোটর সাইকেলে করে ইজতেমা ময়দানে গিয়ে দুই পক্ষের বিক্ষুব্ধ মুসুল্লীদের সংঘর্ষের কবলে পড়ি। এসময় তারা আমার মোটর সাইকেলটিকে গুড়িয়ে দিয়েছে। তারপরও আমি চাই দুপক্ষ মিলে শান্তিপূর্ণভাবে সামনের বিশ্বইজতেমা সম্পন্ন করুক।
পুলিশ জানিয়েছে, সংঘর্ষচলাকালে মুসুল্লীদের হামালায় দুই পুলিশ সদস্য আহত হওয়ায় এবং মুন্সীগঞ্জের নিহত মুসুল্লী ইসমাইল মন্ডলের ছেলে বাদি হয়ে মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
টঙ্গী স্টেশন রোড এলাকায় শনিবারের হামলার প্রতিবাদে জোবায়ের পন্থী মুসুল্লীরা রোববার বিকেলে একটি মিছিল বের করেন। মিছিল থেকে বলা হয় আমাদের উপর হামলা কেন? আমরা এর বিচার চাই।
Leave a reply