ধারাবাহিক খারাপ পারফরম্যান্সের কারণে শেষ পর্যন্ত বর্ডার-গাভাস্কার ট্রফির শেষ ম্যাচ থেকে বাদ পড়লেন ভারতীয় ক্রিকেট দলের অধিনায়ক রোহিত শর্মা। যদিও আপাতত বলা হচ্ছে যে তাকে নাকি বিশ্রাম দেয়া হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে সিরিজের শেষ ম্যাচে টিম ইন্ডিয়াকে নেতৃত্ব দেবেন জাসপ্রিত বুমরাহ। খবর, দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস’র।
প্রতিবেদনের তথ্যমতে, পরবর্তী টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ চক্রের পরিকল্পনায় না থাকলে মেলবোর্নে সদ্য অনুষ্ঠেয় বক্সিং ডে টেস্টই হতে পারে সাদা পোশাকে রোহিতের শেষ।
গণমাধ্যমটি জানায়, ভারতের কোচ গৌতম গাম্ভীর ও প্রধান নির্বাচক আজিত আগারকারের সিদ্ধান্ত মেনে নিয়েছেন রোহিত। জানিয়েছেন সিডনি টেস্টে না খেলার কথা। এটি সত্য হলে একাদশে ফিরবেন শুভমান গিল। আর অধিনায়ক হিসেবে আগামীকাল টস করতে নামবেন জসপ্রিত বুমরাহ।
বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) রোহিত শর্মার পরিবর্তে ভারতের হেড কোচ গৌতম গম্ভীরকে দেখে চমকে যান সাংবাদিকরা। যদিও ব্রিসবেন টেস্টের আগের দিনও এমনটা হয়েছে। তবে সেদিন ঐচ্ছিক অনুশীলন থাকায় মাঠেই আসেননি রোহিত। আজ ঐচ্ছিক অনুশীলন থাকলেও মাঠেই ছিলেন তিনি। কিন্তু কথা বলেননি সংবাদ সম্মেলনে। তাই কাল থেকে শুরু হতে যাওয়া সিডনি টেস্টে তার খেলা নিয়ে তৈরি হয়েছিল ধোঁয়াশা।
Head Coach #GautamGambhir addresses #RohitSharma's absence in the pre-match Press Conference.#AUSvINDOnStar 👉 5th Test, Day 1 | FRI, 3rd JAN, 4:30 AM | #ToughestRivalry pic.twitter.com/o85yp2BBIK
— Star Sports (@StarSportsIndia) January 2, 2025
যদিও পরবর্তীতে কোচ বিষয়টি পরিষ্কার করেন। সংবাদ সম্মেলনে গম্ভীর বলেন, রোহিত ঠিক আছে। উইকেট বিচার করে কাল একাদশ ঠিক করব আমরা। (সংবাদ সম্মেলনে না থাকা প্রসঙ্গে) হেড কোচ আছে, সেটাই যথেষ্ট।
পরবর্তী টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ চক্রের শুরুতে ভারত সফর করবে ইংল্যান্ডে। সেখানে যদি রোহিতকে দেখা না যায়, তবে বিদায়ের বিষয়টিই সত্য হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
দ্বিতীয়বার বাবা হওয়ার কারণে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে প্রথম টেস্টে খেলেননি রোহিত। দ্বিতীয় টেস্টে ফিরে ওপেনিং ছেড়ে ছয়ে ব্যাট করেন তিনি। মেলবোর্ন টেস্টে অবশ্য ওপেনই করতে দেখা যায় তাকে। কিন্তু ব্যাটে ছন্দ আনতে পারেননি।
উল্লেখ্য, পাঁচ ম্যাচ সিরিজে চার ম্যাচ শেষে ২-১ ব্যবধানে এগিয়ে রয়েছে স্বাগতিকরা। যদিও সিডনি টেস্ট জিতে ভারতের সুযোগ আছে বোর্ডার-গাভাস্কার শিরোপা ধরে রাখার। সবশেষ ২০১৪-১৫ মৌসুমে এই শিরোপা জিতেছিল অস্ট্রেলিয়া।
/এমএইচআর
Leave a reply