যৌন হয়রানির অভিযোগ: বিভাগীয় প্রধানের পদ থেকে অব্যাহতি

|

স্টাফ রিপোর্টার, গোপালগঞ্জ

গোপালগঞ্জে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সিএসই বিভাগের চেয়ারম্যান আক্কাস আলীর বিরুদ্ধে দুই ছাত্রীর যৌন হয়রানির অভিযোগে তাকে বিভাগীয় প্রধানের পদ থেকে আজীবনের জন্য অব্যহতি প্রদান করা হয়েছে।

একই সাথে তাকে জানুয়ারী-জুন ২০১৯ থেকে জুলাই-ডিসেম্বর ২০২২ পর্যন্ত মোট ৮ সেমিস্টারের জন্য একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম থেকে বিরত রাখার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মোঃ নুরউদ্দিন আহমেদ স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে এ তথ্য জানানো হয়েছে। সাংবাদিকদের তিনি জানান, গঠিত তদন্ত কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃঙ্খলা বোর্ডের সিদ্ধান্ত মোতাবেক শিক্ষক আক্কাস আলীর বিরুদ্ধে এ ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।

এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি ও শৃঙ্খলা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. খোন্দকার নাসির উদ্দিন জানিয়েছেন, তদন্ত প্রতিবেদন গোপনীয় একটি বিষয়। তদন্ত কমিটি ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে দুই ছাত্রীর অভিযোগ সত্য কি না এ ব্যাপারে কোন মন্তব্য করতে রাজি না হয়ে ভিসি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক পরিস্থিতি ও পরিবেশ বিবেচনা করে এবং তদন্ত কমিটির রিপোর্টের ওপর এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। তিনি আরো জানান, উল্লেখিত সময়ে তিনি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পুরো বেতন ও সুযোগ সুবিধা ভোগ করলেও তাকে একাডেমিক ও প্রশাসনিক কোন কাজ করতে হবে না।

প্রসঙ্গত, বিশ্ববিদ্যালয়ের সিএসই বিভাগের চেয়ারম্যান আক্কাস আলীর বিরুদ্ধে দুই ছাত্রী যৌন নিপীড়নের অভিযোগ তুলেন।অভিযোগের বিষয়টি শিক্ষার্থীদের ফেসবুকে স্থান পায়। এক সময় তা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়ে যায়।

দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে অভিযুক্ত ওই শিক্ষকের শাস্তির দাবী ওঠে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত শিক্ষকের কঠোর শাস্তির দাবীতে ৭ এপ্রিল থেকে শিক্ষার্থীরা ক্লাস বর্জন করে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে।

এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান অনুষদের ডিন ড. মোঃ আব্দুর রহিম খানকে সভাপতি ও ব্যবস্থাপনা বিভাগের শিক্ষক ড. মোঃ বশির উদ্দিনকে সদস্য সচিব করে ৪ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করে বিশ্ববিদ্যালয় কতৃপক্ষ। কমিটির অন্য দুই সদস্য হলেন, ব্যবস্থাপনা বিভাগের সহকারি অধ্যাপক ঈশিকা রায় ও এসিসিই বিভাগের সভাপতি ড. মোঃ কামরুজ্জামান।

তদন্ত কমিটি আজ বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃঙ্খলা বোর্ডের কাছে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন। প্রতিবেদন প্রাপ্তির পর বিশ্ববিদ্যালয় শৃংখলা বোর্ড অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে উপরোক্ত সিদ্ধান্ত দেন।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply