রূপপুরে পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রথম পর্যায়ের কাজ আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়েছে। প্রকল্পের প্রথম কংক্রিট ঢালাই অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, এই কেন্দ্রের কাজ সম্পন্ন হলে দেশে শতভাগ মানুষ বিদ্যুতের সুবিধা নিশ্চিত হবে।
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণে যাতে পরিবেশ ও মানুষের ক্ষতি না হয় এবং পারমাণবিক বিস্তার রোধসহ সবধরনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করেছে সরকার। এ নিয়ে সমালোচনা করা অবান্তর।
২০১৩ সালে ভিত্তি প্রস্তরের মাধ্যমে প্রকল্পের যাত্রা। তারপর থেকেই অনেক জটিল ও দীর্ঘ নানা প্রক্রিয়ার পর শুরু হয়ে গেলো দেশের প্রথম পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের মূল কাজ।
কংক্রিট ঢালাইয়ের পর প্রথম পর্যায়ে নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। এই আনুষ্ঠানিকতা ক্ষণেই পরমাণু বিশ্বে নাম উঠলো বাংলাদেশের। রাশিয়ার সহায়তায় সর্বাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার নিশ্চিত করার হয়েছে। চুক্তির শর্ত অনুসরণ করার পাশাপাশিপারমানবিক নিরাপত্তা নিশ্চিতেও আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি কমিশনের নীতি অনুসরণ করছে সরকার।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন, বর্তমানে ৮৩ ভাগ মানুষের বিদ্যুতের চাহিদা মেটাতে সক্ষম সরকার। শতভাগ নিশ্চিত করতে কার্যক্রম অনেকগুলো প্রকল্প।
পরমাণু বিজ্ঞানীদের সমালোচনার জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ভালো কিছুতে নেতিবাচক সমালোচনা আসেই।
নির্ধিারিত সময়ে কাজ শেষ হলে প্রথম ও দ্বিতীয় পর্যায়ে নির্মিত রূপপুরের এই পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে ২০২৩ সালে ও ২০২৪ সালে ১২শ’ করে মোট ২৪শ’ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হবে।
Leave a reply