ইংল্যান্ডের প্রথমবার বিশ্বকাপ জয়ের স্মৃতি এখনও ইতিউতি ছড়িয়ে রয়েছে লর্ডসে৷ বিশ্বজয়ের সেই মঞ্চেই সপ্তাহ ঘুরতে না ঘুরতে এমন লাঞ্ছিত হতে হবে ব্রিটিশদেরস সেটা বোধহয় স্বপ্নেও কেউ ভাবতে পারেননি৷
বিশ্বকাপের হ্যাংওভার কাটতে না কাটতে ফর্ম্যাট বদলে লর্ডসে আয়ারল্যান্ডের বিরুদ্ধে একমাত্র টেস্ট খেলতে নামে ইংল্যান্ড৷ ১ আগস্ট থেকে এজবাস্টনে শুরু হবে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে অ্যাসেজ সিরিজের প্রথম টেস্ট৷ তার আগে আয়ারল্যান্ডের বিরুদ্ধে লর্ডস টেস্টে নিজেদের ঝালাই করে নিতে চেয়েছিল ইংল্যান্ড৷ অ্যাসেজের সেই প্রস্তুতি মঞ্চেই মুখ থুবড়ে পড়ল বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা৷
লর্ডসে টস ভাগ্য সঙ্গ দেয় ইংল্যান্ডকে৷ আয়ারল্যান্ডের ঘাড়ে বড় রানের বোঝা চাপিয়ে দেওয়ার লক্ষ্যে টস জিতে জো রুট প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন৷ টস হারলেও হতাশ হননি আয়ারল্যান্ড দলনায়ক উইলিয়াম পটারফিল্ড৷ উল্টো মাঠে যেন এক বিস্ময়ের জন্ম দিলো তার দল। বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের মাত্র ৮৫ রানে অলআউটের লজ্জায় ফেললেন আইরিশ বোলাররা!
ম্যাচের এক পর্যায়ে ইংল্যান্ড মাত্র ৪৩ রানের মধ্যে সাত জন ব্যাটসম্যানকে হারিয়ে ধুঁকছিল৷ সেখান থেকে আরও সমপরিমাণ রান যোগ করেছে শেষের তিন উইকেটে। মাত্র ২৪ ওভার ক্রিজে টিকতে পেরেছেন ইংলিশ ব্যাটসম্যানরা।
লর্ডসে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই মুরটাগের বোলিং তোপে পরে স্বাগতিকরা। দলীয় ৮ রানে জেসন রয়কে ফেরান ৩৮ বছর বয়সী মুরটাগ। এরপর ডেনলিকে আউট করেন আরেক পেইসার এডএয়ার। জোরি বার্নস-জো রুটদেরও টিকতে দেননি এই দুই পেইসার। আর দলীয় ৪২ রানে জনি বেয়ারস্টো, ক্রিস ওকস আর মঈন আলীদের ফিরিয়ে ৫ উইকেট নিয়ে প্রথম আইরিশ ক্রিকেটার হিসেবে লর্ডসের অনার বোর্ডে নাম তোলেন টিম মুরটাগ। শেষ দিকে দলের আরেক পেইসার রানকিনও ধ্বংসযজ্ঞে যোগ দিলে ৮৫ রানে অল আউট হয় ইংল্যান্ড। যা টেস্ট স্ট্যাটাস না পাওয়া দলের বিপক্ষে ইংলিশদের সর্বনিম্ন।
ইংলিশদের হয়ে সর্বোচ্চ ২৩ রান করেন ডেনলি। জবাবে ব্যাট করতে নেমে এ্যান্ডি বালবির্নির হাফ-সেঞ্চুরিতে লিড খুব সহজেই লিড নেয় আইরিশরা। তবে মিডল অর্ডারে স্টির্লিং আর কেভিন ও’ব্রায়ানের অপরাজিত ২৮ রান ছাড়া আর কেউ রান না পাওয়ায় ২০৭ রানে অল আউট হয় আয়ারল্যান্ড। ১২২ রানে পিছিয়ে থেকে ১ম দিনের শেষ মুহুর্তে আবারো ব্যাট করতে নামতে হয় ইংলিশদের। তবে কোনো রান যোগ না করেই বিনা উইকেটে দিন শেষ করে ইংলিশরা।
Leave a reply