কেন অবসরে যেতে চান মাহমুদউল্লাহ?

|

ফাইল ছবি।

হারারে টেস্টে সেঞ্চুরির পর দুহাত উঁচিয়ে হুঙ্কার ছুড়লেন মাহমুদউল্লাহ। সব ক্ষোভ আর অবহেলার যেন জবাব দিলেন। সতীর্থ ও টিম ম্যানেজমেন্ট তুমুল করতালি দিয়ে অভিনন্দনের জোয়ারে ভাসালেন এই অভিজ্ঞ ব্যাটারকে। তাসকিন অপর প্রান্ত থেকে ছুটে এসে মাহমুদউল্লাহর সেঞ্চুরি উদযাপনের সঙ্গী হলেন। ড্রেসিংরুমের দিকে আঙুল উঁচিয়ে তিনি ইশারা করলেন উপরের দিকে। হয়তো বলতে চাইলেন, তিনি নন, এর কৃতিত্ব অন্য কারো।

সেই বার্তা কিছুটা পরিষ্কার হলেও মাহমুদউল্লাহর মনের ভাব যে বুঝতে পারেনি কেউই। বিবিসি সূত্রে জানা গেছে, আজ সকালে (৯ জুলাই) টিম মি‌টিং‌য়ে টেস্ট ক্রিকেট থে‌কে অবস‌র নেয়ার ই‌চ্ছের কথা জা‌নি‌য়ে‌ছেন তিনি। সেঞ্চুরি করে নিজের জায়গা আবারও পোক্ত করলেন, এমনটাই যখন ভাবছে সবাই তখনই আসলো এই বিস্ময়কর খবর। কিন্তু প্রশ্ন উঠেছে, কী কারণ এই অকাল অবসরের?

টাইগারদের কোচ রাসেল ডমিঙ্গোর টেস্ট পরিকল্পনায় ছিলেন না মাহমুদউল্লাহ। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে রাওয়ালপিন্ডি টেস্টের পর দেড় বছর খেলা হয়নি টেস্ট ক্রিকেট। ৪৯ টেস্টেই আটকে থাকবেন কিনা এই যখন ছিল জিজ্ঞাসা, তখনই অনেকটা অপ্রত্যাশিতভাবে মাহমুদউল্লাহ ডাক পান টেস্ট দলে। তবে দুর্দান্ত সেঞ্চুরির একদিন পরই তার অবসরের গুঞ্জনে মনে হতেই পারে, রাসেল ডমিঙ্গোকে তার প্রতি উপেক্ষার জবাব দিতেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মাহমুদউল্লাহ।

তবে বয়সও কম হয়নি পঞ্চপাণ্ডবের মধ্যে থেকেও সবসময় টিমম্যান হিসেবেই থাকা এই ব্যাটারের। ৩৫ বছর বয়সী এই ক্রিকেটার এখনো রাঙিয়ে যাচ্ছেন রঙিন পোশাকের ক্রিকেট। ওয়ানডে ও টি টোয়েন্টিতে বেশি মনোযোগ দেয়ার জন্যে অনেকেই টেস্টকে বিদায় বলে দিচ্ছেন আগেভাগেই। মাহমুদউল্লাহর সিদ্ধান্তের কারণ এমন কিছুও হতে পারে।

পিঠের ইনজুরিতে ভুগে অনেকদিনই বোলিং করেন না এক সময়ের পার্ট টাইম অফস্পিনার মাহমুদউল্লাহ। পার্টনারশিপ ভাঙার জন্য তার অফস্পিন বেশ কার্যকর ছিল। সেই ইনজুরি থেকে সেরে উঠলেও বোলিং এ আর নিয়মিত হননি তিনি। আর সাথে ফিল্ডিং এবং রানিং বিটুইন দ্য উইকেটে অপেক্ষাকৃত মন্থর গতিও প্রকাশ করছিল ফিটনেসের দিক দিয়ে সেরা অবস্থায় নেই মাহমুদউল্লাহ। কোনো একটা ফরম্যাটকে বিদায় জানানোর কথা হয়তো নিজেই ঠিক করে রেখেছিলেন। এই ফরম্যাট হবার বেশি সম্ভাবনা তাই অনুমিতভাবেই দীর্ঘদিন না খেলা টেস্ট।

তবে ডাক পেয়ে পারফর্ম করতে ভুল করলেন না এই সাইলেন্ট কিলার। দলকে খাদের কিনারা থেকে ফিরিয়ে এনে মুখে নয়, ব্যাটেই এতোদিনকার উপেক্ষার জবাব দেয়ার পরই হয়তো ভাবলেন, বাকি নেই কিছুই আর প্রমাণের।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply