‘সক্ষমতার প্রমাণ দিয়েছে পেসাররা’

|

উইকেট না পেলেও সুইং ও গতি দিয়ে নজর কেড়েছেন তাসকিন।

নিউজিল্যান্ডের উইকেটে পেসারদের জন্য বাড়তি সুবিধা থাকলেও সেই সুবিধা কাজে লাগাতে প্রয়োজন বাড়তি দক্ষতা, আর সময়ের সাথে মানিয়ে নেয়ার সক্ষমতা। প্রথম দিন প্রতিপক্ষের ৫ উইকেট তুলে নিয়ে তারই খানিকটা করেছেন তাসকিন-শরিফুল-এবাদতরা। এমনটাই বলেছেন পেস বোলিং কোচ ওটিস গিবসন। দ্বিতীয় দিনে দ্রুত কিউইদের গুটিয়ে দেয়াই লক্ষ্য এখন টাইগারদের।

ম্যাচের শুরুতেই শরীফুলের এলবিডব্লুর আবেদন থেকে আম্পায়ার্স কলে রক্ষা পান শূন্য রানে থাকা ডেভন কনওয়ে। দিন শেষে সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে ১২২ রানে ফেরেন সেই কনওয়ে। ভাগ্য পক্ষে থাকলে বে ওভালে দিনটা অন্যরকম হতে পারতো মুশফিক-মুমিনুলদের। ৫৩ রানে ২ উইকেট নেয়া শরিফুলের টি-টোয়েন্টি অভিষেক হয়েছিল গেল মার্চে হ্যামিল্টনে। সেবার সুবিধা করতে পারেননি তিনি। কিন্তু এবার বদলে যাওয়া শরিফুলকে পেয়েছে বাংলাদেশ।

শরিফুল ইসলাম বলেন, প্রথম ঘণ্টায় ভালো লেগেছে বোলিং করে। নতুন বলে মুভমেন্ট ছিল, সুইং করছিল, খুব উপভোগ করেছি প্রথম এক ঘণ্টা। যখন দেখলাম ফ্ল্যাট হয়ে গেছে, বল সোজা যাচ্ছে তখন লেংথ একটু পিছিয়ে দিই। যেন স্কোর করা ওদের জন্য একটু কঠিন হয়।

আরও পড়ুন: প্রথম দিনের বাংলাদেশ-নিউজিল্যান্ড লড়াই সমানে সমান

শরিফুল উইকেট পেলেও, দারুণ বোলিংয়ের পরও উইকেট বঞ্চিত রয়ে গেছেন তাসকিন। শেষ দিকে এবাদতের নিয়ন্ত্রিত বোলিং করেছেন এবাদত। আর তাতেই ৫ উইকেটে স্বাগতিকদের পুঁজি দাঁড়ায় ২৫৮ রানে। শিষ্যদের প্রতি সন্তুষ্ট ওটিস গিবসন প্রত্যাশা করেন দ্বিতীয় দিন প্রতিপক্ষকে দ্রুত গুটিয়ে দেয়ার। তিনি বলেন, সব পেসারই ভালো করেছে। এবাদতও ভালো করেছে। ওদের জন্য এই কন্ডিশন কিন্তু অচেনা। আমরা একটু সামনে বল করেছি। সুইং করিয়েছি। দেখা যাবে, এমন বোলিংয়ে হয়তো অন্যদিন আরও ২-৩ টা উইকেট বেশি পড়েছে। কনওয়ে একটুর জন্য বেঁচে গেছে। আজ অনেক গরমও ছিল। ওদের নিয়ে আমি গর্বিত।

আরও পড়ুন: পরের মাটির পর ঘরের মাটিতেও অভিষেকে সেঞ্চুরির রেকর্ড কনওয়ের


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply