২০১৩ থেকে ২০১৯ সাল। মাঝে বয়ে গেছে ৬ বছর। নিষেধাজ্ঞার খড়ক পড়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেটের উজ্জল দুই নক্ষত্রের উপর। হ্যা তারা ভুল করেছেন, সেটি স্বীকারও করেছেন। কিন্তু বাংলাদেশের এমন কালো অধ্যায়ের পেছনে আছে ভারতীয় জুয়াড়িদের ফাঁদ।
সম্প্রতি সাকিব আল হাসান ইস্যুতে উঠে এসেছে একজন ভারতীয় জুয়াড়ি দিপক আগারওয়ালের নাম। কিন্তু একজন আগারওয়ালেই যে এই চক্রে সীমাবদ্ধ নয়। তার প্রমাণ সবশেষ বাংলাদেশ জিম্বাবুয়ে সিরিজ চলাকালে ধরা পড়ে ভারতের এক জুয়াড়ি।
ক্রিকেট দুনিয়ায় সবশেষ যে বিষয়টি আলোড়ন ফেলেছিলো সেটি ছিলো আল জাজিরার ফিক্সিং নিয়ে একটি প্রতিবেদন। সেখানে অনিল মুনওয়ার নামে ভারতীয় জুয়াড়ি ম্যাচ পাতানো নিয়ে দেন নানা তথ্য। উঠে আসে ভারত-শ্রীলঙ্কা-অস্ট্রেলিয়ার মত দলের পেছনের অনেক তথ্য।
ক্রিকেট বিশ্বে ভারতীয় জুয়াড়িদের অবাদ বিচরণ। যার শক্ত প্রমাণ মেলে সবশেষ টি টোয়েন্টি বিশ্বকাপের বাছাই পর্বে। যেখানে ৯ জুয়াড়িকে আটক করে পুলিশ। তাদের সবাই ছিলো ভারতের নাগরিক।
এছাড়াও আইসিসির দুর্নীতি কমিশনের তদন্তে উঠে এসেছে আরো ভয়াবহ তথ্য। যেখানে আইসিসির মহাব্যবস্থাপক অ্যালেক্স মার্শাল বলেন, বিশ্বে জুয়াড়িদের বেশিরভাগই ভারতীয় নাগরিক।
অথচ মজার বিষয় মোহাম্মদ আজহার উদ্দিন, অজয় জাদেজ আর সবেশেষ শ্রীশান্ত ছাড়া আর তেমন কোন ভারতীয় ক্রিকেটার ধরা পড়েনি ফিক্সিংয়ের অপরাধে। কিন্তু ভারতিয় জুয়াড়িদে ফাঁদে বেশি পড়ছে বাংলাদেশ, শ্রীলংকা আর পাকিস্তানের ক্রিকেটাররা।
Leave a reply