২০২১ সালের সেপ্টেম্বরে ছুটিতে পাঠানো হয় জাতীয় ফুটবল দলের হেড কোচ জেমি ডে’কে। এরপর আর ফেরেননি জেমি। নতুন কোনো কোচও নেয়নি বাফুফে। তার দেশে আসার পথ বন্ধ করে রেখেছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন। তাই বিদেশে বসেই বেতন গুনছেন এই ব্রিটিশ কোচ। তাই প্রশ্ন উঠছে, জাতীয় দলের হতশ্রী অবস্থার এই দায় কার, জেমি ডে’র? নাকি বাফুফের? আরও যেসব প্রশ্ন উঠেছে তার কোনোটিই বাফুফের জন্য সুখকর নয়। যেমন, স্পষ্ট হওয়া যাচ্ছে না যে, জেমি ডে বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের কোচ নাকি সাবেক কোচ। তিনি বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন থেকে বেতন পান নাকি পান না, সে জবাবও হয়তো জানে না অনেকেই।
সবশেষ ২০২১ সালের সেপ্টেম্বর মাসে জেমি ডে’কে ছুটিতে পাঠায় বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন। এরপর জেমি আর বাংলাদেশে আসেননি। জাতীয় দলের সাথে যোগ হয়নি নতুন কোনো কোচও। তাইতো বাফুফে সভাপতি কাজী সালাহউদ্দিনের কাছে প্রশ্ন করা হয়েছিল, জেমি ডে কি এখনো বাংলাদেশের কোচ কিনা। বাফুফে সভাপতি যেন অনেকটা দায় এড়ানোর ভঙ্গিতেই বললেন, ২-৩ দিনের মধ্যে জাতীয় দল কমিটি থেকে ব্রিফ করা হবে।
অবশ্য দায় এড়ানো নাকি অন্যের কাঁধে বন্দুক রেখে ট্রিগার টানার চেষ্টা করলেন বাফুফে সভাপতি, আরও অনেক কিছুর মতোই এটিও স্পষ্ট হওয়া গেল না। তাছাড়া, যার কাঁধে বন্দুক রাখলেন তাকেও পাওয়া যায় না ফোনে।
আরও পড়ুন: হাজার কোটি টাকার বেশি অনুদান পেতে যাচ্ছে বাফুফে
এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হয়েছিল জেমি ডে’র সাথে। বর্তমানে যুক্তরাজ্যে থাকা জেমি সময় কাটাচ্ছেন পরিবারের সাথে। তার কাছে জানতে চাওয়া হয় বাংলাদেশে ফেরার সম্ভাবনা আছে কিনা, সে প্রসঙ্গে। জেমি সাফ জানালেন, নেই! দাবি করলেন, পথটা নাকি বন্ধ করা হয়েছে বাফুফে থেকেই। ২০২২ সালের আগষ্ট পর্যন্ত বাফুফের সাথে চুক্তি থাকা এই কোচ বেতন পাচ্ছেন দেশের বাইরে বসেই।
জাতীয় দলের হতশ্রী অবস্থার সাথে যোগ হয়েছে ঘরোয়া ফুটবলে বিতর্ক। হরহামেশাই শোনা যায় টাকার অভাব বাফুফের। এত কিছুর পরও একজন কোচকে বসিয়ে রেখে বেতন দিয়ে যাচ্ছে বাফুফে। কিন্তু কেন? আর এর দায়টাই বা কার? হেড কোচ জেমি ডে’র নাকি বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের নাকি ফুটবলকে ভালোবাসা কোটি সমর্থকের?
আরও পড়ুন: বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়াম সংস্কারের জন্য মূল বাঁধা বাফুফে
Leave a reply