অ্যালকোহলের ওপর কড়াকড়ি আরোপসহ কাতার সরকারের নানাবিধ পদক্ষেপে বিশ্বকাপের এই আসর হয়ে উঠেছে নারীবান্ধব। এমনটাই মনে করছেন দেশটিতে অবস্থানরত নারী পর্যটকরা। তারা বলছেন- স্টেডিয়াম থেকে শুরু করে রাস্তাঘাটেও পূর্ণ নিরাপত্তায় চলাচল করছেন তারা। ফলে অন্য আসরের তুলনায় অনেক বেশি স্বাচ্ছন্দ্যে খেলা উপভোগ করতে পারছেন সবাই।
এলি মোলোসন, বিশ্বকাপ উপভোগে ইংল্যান্ডের এই তরুণী এখন অবস্থান করছেন কাতারে। পশ্চিমা দেশ থেকে আসা এই নারীর দোহায় পৌঁছানোর আগের এবং বিগত কয়েকদিনের অনুভূতি একেবারেই ভিন্ন। মধ্যপ্রাচ্যের এই মুসলিম দেশটিতে আসার আগে নানা উদ্বেগ বাসা বেধেছিল তার মনে। তবে এলির সব শঙ্কা কেটে গেছে এখন।
ইংল্যান্ডের বাসিন্দা এলি মলোসন বলেন, ইউরোপের বাইরে কখনো যাইনি। বিভিন্ন সময় খবর দেখে মনে হয়েছিল, কাতার নারীদের জন্য বিপজ্জনক জায়গা। এই দেশে আসবো শুনে আমার বাবা খুব ভয় পাচ্ছিলেন। একজন একাকী নারী পর্যটক হিসেবে বলতে পারি, এখানে এসে কোনো যৌন হয়রানি তো দূরের কথা, কোনো বাজে মন্তব্য বা ইঙ্গিতের মুখোমুখিও হতে হয়নি।
কেবল এলি নন, একই মন্তব্যে বিশ্বকাপ উপলক্ষে কাতারে ভিড় জমানো লাখো নারীর। তারা বলছেন- স্টেডিয়াম থেকে শুরু করে পথে ঘাটেও পূর্ণাঙ্গ নিরাপত্তা পাচ্ছেন তারা। এক নারী পর্যটক বলেন, স্টেডিয়াম এলাকা খুবই নিরাপদ। নিজে কোনো অপ্রীতিকর পরিস্থিতিতে পড়িনি। আর কোনো নারীকে ইচ্ছার বিরুদ্ধে স্পর্শও করতে দেখিনি কাউকে। বিশ্বকাপ উপভোগে অন্য দেশেও গিয়েছি। তবে এতটা নিরাপদবোধ করিনি কোথাও।
নারী পর্যটকরা বলছেন, অ্যালকোহলের ওপর কড়াকড়ি আরোপ করায় পাল্টে গেছে সার্বিক পরিবেশ। কঠোর নিয়মকানুন মানতে পুরুষ দর্শকরা সতর্ক থাকায়, উল্লেখযোগ্য হারে কমেছে অপ্রীতিকর ঘটনা।
আরেক নারী পর্যটক বলেন, আমার মনে হয় এখানকার রক্ষণশীল সমাজব্যবস্থার কারণে বিদেশি নারীরা এতটা নিরাপদ। অ্যালকোহল এতটা সহজলভ্য না। বেশিরভাগ পর্যটকই রাস্তাঘাটে সতর্কভাবেই চলাফেরা করছে। সব মিলিয়ে কাতার বিশ্বকাপ বেশ স্বাচ্ছন্দ্যেই উপভোগ করছি।
বিশ্বকাপ ফুটবলের মতো এমন বিশাল আয়োজন নারীবান্ধব করে তোলায় কাতার সরকার রোল মডেল হয়ে থাকবে বলে মনে করছেন অনেকে।
ইউএইচ/
Leave a reply