সৌদি লিগের উত্থানের গল্প

|

ছবি: সংগৃহীত

ইউরোপের সর্বোচ্চ পর্যায়ের ফুটবলারদের জন্য সৌদি প্রো লিগের দরজা দেখিয়েছিলেন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। সিআরসেভেনের দেখানো পথ ধরে করিম বেনজেমা, সাদিও মানে, রিয়াদ মাহারেজ, ফিরমিনহো, হ্যান্ডারসন থেকে শুরু করে সবশেষ তারকা হিসেবে সৌদি লিগে নাম লিখিয়েছেন ব্রাজিলিয়ান সুপারস্টার নেইমার।

কিন্তু হঠাৎ করে সৌদি লিগের এই দৌরাত্ম্য কেন? কেন ফুটবলে কোটি কোটি ডলার বিনিয়োগ করছে সৌদি সরকার। এতো টাকা পাচ্ছে কোথায় আল নাসর, আল হিলাল, আল ইত্তিহাদের মতো দলগুলো?

রুপকথার মতো এই গল্পের ভিত গড়ে ওঠে কাতার বিশ্বকাপে। নিজেদের প্রথম ম্যাচে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনাকে হারিয়ে বিশ্বকে চমকে দেয় সৌদি আরব। দলের সেই জয় দারুণভাবে নাড়া দেয় যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানকে। এরপরই পাবলিক ইনভেস্টমেন্ট ফান্ড পিআইএফ প্রজেক্টের আওতায় দেশটির চার ক্লাব আল-নাসর, আল-হিলাল, আল-ইত্তিহাদ ও আল-আহলির মালিকানা নেয়া হয়। এরপরই শুরু সৌদি লিগে টাকার ছড়াছড়ি এবং তারকাদের মিলন মেলা।

এখন পর্যন্ত চলতি গ্রীষ্মকালীন দলবদলে খেলোয়াড়দের পারিশ্রমিক বাবদ ৪৮ কোটি ডলার ব্যয় করেছে সৌদি লিগের ক্লাবগুলো। সৌদি লিগের এই উত্থান রীতিমতো ভীতি ছড়িয়েছে ইউরোপের শীর্ষ লিগগুলোতে।

এ প্রসঙ্গে ম্যানচেস্টার সিটি কোচ পেপ গার্দিওলা বলেন, আমার মনে হয় ফুটবল দলবদলের বাজারকে বদলে দিয়েছে সৌদি লিগ। এই কয়েক মাসে আগেও গল্পটা খুবই সাধারণ ছিল। রোনালদোর পর বদলে গেছে প্রেক্ষাপট। আমার বিশ্বাস, আরও অনেক সেরা খেলোয়াড় ইউরোপ থেকে পাড়ি দেবে এই লিগে।

তবে কেবল ফুটবলই নয়, তেল রফতানির বাইরে বিশ্বে ইতিবাচক ইমেজ তৈরির জন্য ক্রীড়ার অন্যান্য সেক্টর– গলফ, ফর্মুলা ওয়ান মোটর রেসিং, বক্সিংয়েও বিপুল অর্থ বিনিয়োগ করছে সৌদি আরব।

/আরআইএম


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply