আফগানদের বিপক্ষে ব্যবধান গড়ে দিতে পারেন মিরাজ-শান্ত-সাকিব

|

ছবি: সংগৃহীত

অতিত ইতিহাস বলে যে কোনো টুর্নামেন্টের শুরুটা বাংলাদেশ জয় দিয়ে করতে পারলে ভালো কাটে পুরো আসর। তাইতো আফগানিস্তানের বিপক্ষে জয় দিয়ে আসর শুরু করতে চাইবে টাইগাররা। আফগানদের সাথে ঘরের মাঠে সবশেষ ওয়ানডে সিরিজ হারলেও এশিয়া কাপে আফগানদের উড়িয়ে দেবার সুখস্মৃতি আছে টাইগারদের।

আফগানতো বটেই পুরো টুর্নামেন্টে বাংলাদেশের সাফল্যের সিংহভাগ নির্ভর করবে ব্যাটারদের পারফরমেন্সের উপর। আফগানিস্তানের বাঁহাতি পেসার আর স্পিনাররা নতুন বলে খুব পারদর্শি হওয়ায় ডানহাতি টাইগার ব্যাটারদের আধিপত্য দেখাতে হবে। এশিয়া কাপে ঠিক যেমনটা করেছিলেন মেহেদি হাসান মিরাজ। ধর্মশালার এই ম্যাচেও ব্যাটার মিরাজকে বাড়তি দায়িত্ব দিতে পারে ম্যানেজমেন্ট।

তিন নম্বরে নাজমুল শান্ত আছে দারুণ ফর্মে। তিনিও শতক হাকিয়েছেন সবশেষ আফগানিস্তান ম্যাচে। সেই আত্মবিশ্বাসটা কাজে লাগাতে হবে শান্তকে। টাইগার একাদশে স্পিনটা সবচেয়ে ভালো খেলেন তাওহিদ হৃদয় ও মুশফিকুর রহিম। মিডল অর্ডারে এই দুই ব্যাটারের জ্বলে ওঠাটাও খুব জরুরি। বিশেষ করে শুরু ছন্দটা আবারো হৃদয়ের ব্যাটে ফেরাটা জরুরী।

গেলো বিশ্বকাপের স্টার পারফরর্মার বাংলাদেশ অধিনায়ক সাকিব আল হাসানের অলরাউন্ড নৈপুণ্যও খুব জরুরি। বিশেষ করে সাকিবের ব্যাট থেকে রান নিয়মিত এলে ভালো বিশ্বকাপের স্বপ্নটা আরও গাড়ো হবে। সাম্প্রতিক সময় বাংলাদেশের সেরা শক্তি বোলিং ডিপার্টমেন্ট। তাসকিন আহমেদ, হাসান মাহমুদ ও শরিফুল ইসলামরা আছেন দারুণ ছন্দে। তবে ভারতীয় কন্ডিশনে সাকিব, নাসুম এমকি সুযোগ পেলে শেখ মেহেদীও হতে পারেন কার্যকারি।

আফগানদের মূল শক্তি বোলিং। শুরুতে দুই বাঁহাতি ফজল হক ফারুকি আর স্পিনার মুজিব উর রহমান কঠিন পরীক্ষা নেবে বাংলাদেশের। তবে মিডল ওভারে আসবে দলের সবচেয়ে সেরা বোলার রশিদ খান।

আফগানদের সবচেয়ে সেরা ব্যাটার ইব্রাহিম জাদরান। ১৯ ম্যাচের ওয়ানডে ক্যারিয়ারে ৪টি শতকের হাকিয়েছেন ইতোমধ্যেই। ২১ বছর বয়সী এই ব্যাটারের গড় ৫৩.৫৩। দ্বিতীয় সেরা ব্যাটার ওপেনার রহমতুল্লাহ গুরবাজ। এই ব্যাটার ভালো শুরু পেলে কাজটা কঠিন হবে টাইগার বোলারদের জন্য।

/আরআইএম


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply