কেন জ্বলে উঠতে পারছেন না বাংলাদেশের পেসাররা?

|

ছবি: সংগৃহীত

ম্যাচ জয়ে পেছনে পড়ে অনেক সমালোচনা। কিন্তু ধর্মশালায় ইংলিশদের কাছে বাংলাদেশের হার কিছু প্রশ্ন রেখে গেছে, যার কেন্দ্রে টাইগার পেসারদের পারফরমেন্স। দলের পেস বোলাররা হঠাৎ নিজেদের হারিয়ে খুঁজছেন কেন? পাওয়ারপ্লেতে পেসাররা কেন উইকেট তুলে নিতে পারছেন না? কেন পারছেন না দেখা দিতে আগেকার আগুনে রূপে? পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ক মিসবাহ-উল-হকের মতে, নতুন বলে তাসকিনের উইকেট না পাওয়াই ভোগাচ্ছে টাইগারদের।

ভারত বিশ্বকাপে বাংলাদেশ পা রেখেছিল শক্তিশালী এক পেস বিভাগ নিয়ে। নতুন কিছুর স্বপ্ন দেখাচ্ছিলেন তারা, হৃদয়ে বুনে দিয়েছিলেন আত্মবিশ্বাসের বীজ। এমনটাই তো হবার কথা, ডোনাল্ডের সাহচর্যে তাসকিন-শরিফুলরা তো পরিণত হন বারুদে।

পরিসংখ্যানও তাসকিনদের পক্ষেই বলে। ২০২১ সালের পর থেকে বিশ্বকাপ পর্যন্ত খালি চোখেই পেসারদের আধিপত্য দেখা যায়। এই সময়ে ৪৭ ম্যাচে স্পিনাররা যেখানে নিয়েছেন ১৪৯ উইকেট, পেসারদের উইকেট সংখ্যা সেখানে ১৯৪! এই সময়ে স্পিনারদের চেয়ে ১০০ ওভারেরও বেশি বোলিং করেছেন পেসাররা।

তবে ধর্মশালায় খুঁজে পাওয়া যায়নি তাদের। দেখা যায়নি তাদের সেই ঝাঁজ, সেই রুদ্ররূপ। নিস্প্রভ ছিলেন বলা যাবে না, তবে শুরুর দিকে চাপ সৃষ্টি করা কিংবা গুরুত্বপূর্ণ সময়ে ব্রেক থ্রু দিতে পারেননি তাসকিনরা।

আফগানিস্তানের বিপক্ষে ধুঁকতে ধুঁকতে রক্ষা পান সাকিবের ভূমিকায়। আড়ালে পড়ে যায় তাদের পারফরমেন্স, তবে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে চল্লিশতম ওভার পর্যন্ত যেমন ছিলেন পেসাররা, তাতে যেন ফুটে ওঠে অসহায়ত্ব। যদিও দুই ম্যাচ দিয়ে নিজেদের মুল্যায়ন না করার অনুরোধ ছিলো তাসকিনের।

বাংলাদেশের পেস অ্যাটাকের অন্যতম কাণ্ডারি তাসকিন আহমেদ বলেন, দুই ম্যাচ দিয়ে যদি দুই বছরের অর্জনকে এলোমেলো মনে করেন, তাহলে আমাদের ব্যর্থতা। তুলনামূলক যা আশা ছিল, তার চেয়ে বোলিংটা খারাপ হয়েছে। যদিও কন্ডিশন ব্যাটিং ফ্রেন্ডলি। তাও ভালো করা যেতো। সামনে ভালো করার চেষ্টা করবো।

ধর্মশালাকে অতীতের খাতায় ফেলে ফিজ-হাসানদের অ্যাম্বুশ করতে হবে তেড়ে ফুঁড়ে। বিশ্বকাপে ভালো করতে এর যে কোনো বিকল্প নেই।

/এএম


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply