বিশ্বকাপ শুরু আগেই নেদারল্যান্ডসের অন্যতম বড় চমক বলা হচ্ছিল তাকে। দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে ২০০৮ সালের অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ খেলেছেন। ৩৫ বছর বয়সী ব্যাটারের আন্তর্জাতিক অভিষেক হয়েছে বিশ্বকাপে- নেদারল্যান্ডসের হয়ে। লক্ষ্ণৌর শ্রী অটল বিহারি বাজপেয়ি স্টেডিয়ামে লঙ্কানদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে যখন ব্যাটিং বিপর্যয়ে ডাচরা তখনই যেন নিজেকে প্রমাণ করার মোক্ষম সময় খুঁজে নিলেন সেই সাইব্র্যান্ড এঙ্গেলব্রেখট। ৯১ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে নেদারল্যান্ডস যখন ধুঁকছে তখন সপ্তম উইকেট জুটিতে লোগান ভ্যান বিকের সাথে ১৩০ রানের জুটি গড়ে ম্যাচের গতিপথ ঘুরিয়ে দিয়েছেন দারুণভাবে। ৮২ বলে ৭০ রান করে ফিরছিলেন তখন দলের সংগ্রহ ৭ উইকেটে ২২১ রান। অন্যদিকে, লোগান থামেন ৭৫ বলে ৫৯ রান করে। শেষ পর্যন্ত ২৬২ রানে গিয়ে থামে নেদারল্যান্ডসের ইনিংস।
শনিবার টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন নেদারল্যান্ডস অধিনায়ক স্কট এডওয়ার্ডস। দুই ওপেনার বিক্রমজিৎ সিং ও ম্যাক্স ও’ডাউড ভালো শুরু পাননি। দলীয় ৭ রানেই ভেঙে যায় উদ্বোধনী জুটি। চতুর্থ ওভারের চতুর্থ বলে কাসুন রাজিথার বলে এলবিডব্লু হয়ে ড্রেসিংরুমে ফিরে যান বিক্রমজিৎ। ডাচ ওপেনার রিভিউ নিলে তা কাজে লাগেনি। ১৩ বলে ১ চারে ৪ রান করেন বিক্রমজিৎ। এরপর উইকেটে আসেন কলিন অ্যাকারমান। দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে ৩৮ বলে ৪১ রান যোগ করেছেন ও’ডাউড-অ্যাকারমান। দশম ওভারের শেষ বলে ও’ডাউডকে বোল্ড করে জুটি ভাঙেন রাজিথা। ২৭ বলে ১ চার ও ১ ছক্কায় ১৬ রান করেন ও’ডাউড। খুব দ্রুত অ্যাকারমানকেও ফিরিয়েছেন রাজিথা। ১২ তম ওভারের শেষ বলে রাজিথাকে কাট করতে গিয়ে উইকেটরক্ষক কুশল মেন্ডিসের তালুবন্দী হয়েছেন অ্যাকারমান। ৩১ বলে ৫ চারে ২৯ রান করেন অ্যাকারমান।
ও’ডাউড, অ্যাকারমানের দ্রুত বিদায়ে নেদারল্যান্ডসের স্কোর দাঁড়ায় ১২ ওভারে ৩ উইকেটে হারিয়ে ৫৪ রান। রাজিথার পর দ্রুত ডাচদের আরও ২ উইকেট তুলে নিয়েছেন দিলশান মাদুশঙ্কা। যেখানে ১৭-তম ওভারের পঞ্চম বলে মাদুশঙ্কাকে আপার কাট খেলতে গিয়ে ডিপ থার্ড ম্যানে কুশল পেরেরার অসাধারণ ক্যাচে পরিণত হন বাস ডি লিড। ২১ বল খেলে ডি লিড করেন ৬ রান। এরপর ১৯-তম ওভারের চতুর্থ বলে তেজা নিদামানুরুকে এলবিডব্লু করেন মাদুশঙ্কা। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারানোর সঙ্গে সঙ্গে রানের গতিও ধীর হতে থাকে নেদারল্যান্ডসের। ১৮.৪ ওভারে ডাচদের স্কোর দাঁড়ায় ১৮.৪ ওভারে ৫ উইকেটে ৭১ রান। ২২ তম ওভারের দ্বিতীয় বলে এডওয়ার্ডসকে বোল্ড করেন মাহিশ থিকশানা। ডাচ অধিনায়ক ১৬ বলে করেন ১৬ রান।
এরপরই নেদারল্যান্ডসের ঘুরে দাঁড়ানোর উপাখ্যান। সাইব্র্যান্ড এঙ্গেলব্রেখট-লোগান ভ্যান বিকের ১৩০ রানের অনবদ্য জুটি। লঙ্কান বোলারদের সকল প্রচেষ্টা নস্যাৎ করে দিয়ে নেদারল্যান্ডসকে ম্যাচে ফেরান তারা। ২৩.৫ ওভারের জুটিতে রানের চাকাও ঘুরিয়েছেন সমানতালে। আগের ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারানোর আত্মবিশ্বাস, সাথে খেই হারানো ম্যাচে ব্যাটারদের আবার নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা- এখন লঙ্কানদের বিপক্ষে কতটা জ্বলে উঠেন ডাচ বোলাররা সেটিই দেখার পালা।
Leave a reply