শুরুর ঝড় থামিয়ে অজিদের ৩৮৮ রানে থামালো নিউজিল্যান্ড

|

বিশ্বকাপে চলতি আসরে নিজেদের ষষ্ঠ ম্যাচে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে মাঠে নেমে রীতিমতো তাণ্ডব চালিয়েছেন অস্ট্রেলিয়া ব্যাটাররা। দুই ওপেনার ট্রাভিস হেড ও ডেভিড ওয়ার্নারের তাণ্ডবে মাত্র ৮ দশমিক ৫ বলেই দলীয় শতক তুলে নেয় অজিরা। আর ১৫ ওভারেই দেড়শো ছাড়ায় অস্ট্রেলিয়া। তবে শুরুর তাণ্ডবের পরও কিউদের মাত্র ৩৮৯ রানের লক্ষ্য দিতে পেরেছে। শেষদিকে কিউই বোলারদের দৃঢ়তায় ৪ বল বাকি থাকতেই অলআউট হয়ে অস্ট্রেলিয়া।

এর আগে শনিবার (২৮ অক্টোবর) ধরমশালার হিমাচল প্রদেশ ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন স্টেডিয়ামে বেলা ১১টায় শুরু হয় ম্যাচটি। এদিন টস জিতে অস্ট্রেলিয়াকে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানান কিউই অধিনায়ক টম ল্যাথাম।

ব্যাটিংয়ে নেমে নেমে রীতিমতো টর্নেডো চালান দুই অজি ওপেনার ওয়ার্নার ও হেড। বিশ্বকাপ ইতিহাসে দল হিসেবে দ্বিতীয় দ্রুততম শতকের রেকর্ড গড়েন তারা। মাত্র ৮ দশমিক ৫ ওভারেই ১০০ পার করে অজিরা। নিউজিল্যান্ডের বোলারদের ওপর রীতিমতো ঝড় তুলে মাত্র ২৮ বলে ব্যক্তিগত অর্ধশতক পূর্ণ করেন ওয়ার্নার। অপরপাশে হেড ২৫ বলেই অর্ধশতক তুলে নেন। ওয়ার্নার-হেডের তাণ্ডবে মাত্র ১৫ ওভারেই দলীয় দেড়শো রান পূর্ণ করে অজিরা।

১৯ দশমিক ১ ওভার স্থায়ী এই জুটি থেকে আসে ১৭৫ রান। দুর্দান্ত ফর্মে থাকা ওয়ার্নার গ্লেন ফিলিপসের বলে ফিরতি ক্যাচ দিয়ে ফিরলে ভাঙ্গে উদ্বোধনী জুটি। ফেরার আগে ওয়ার্নার ৬৫ বলে ৮১ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেন। তার ইনিংসে ছিল ৫টি চার ও ছয়টি ছয়ের মার। অন্যপ্রান্তে দুর্দান্ত খেলে সেঞ্চুরি তুলে নেন আরেক ওপেনার হেড। তিনি বিদায়ের আগে করেন ৬৭ বলে ১০৯ রান। তিনি বিধ্বংসী এই ইনিংস খেলার পথে ১০টি চার ও ৭টি ছক্কা হাঁকিয়েছেন। ২৩ ওভারেই ২০০ পূর্ণ করে অস্ট্রেলিয়া।

তবে ইনিংস বড় করার মঞ্চ পেয়েও সুযোগ কাজে লাগাতে পারেননি মার্শ। স্যান্টনারের বলে বোল্ড হয়ে ফেরার আগে তিনি ৫১ বলে করেন ৩৬ রান। মাঝে কিছুটা ওভার ধীরগতিতে রান তোলেন অজি ব্যাটাররা। এই ম্যাচে স্মিথ-লাবুশানেরাও বড় রান পাননি। স্মিথ ১৭ বলে ১৮ এবং লাবুশানে ২৬ বলে করেন ১৮ রান। গত ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান ম্যাক্সওয়েল এই ম্যাচে ২৪ বলে খেলেন ৪১ রানের ঝড়ো ইনিংস। পাঁচ চার ও দুই ছক্কায় তিনি এই রান করেন। শেষদিকে অধিনায়ক কামিন্সের ১৪ বলে চার ছক্কা এবং দুই চারে ৩৭ রানের ইনিংসে ভর করে ৩৮৮ রানে থামে অস্ট্রেলিয়ার ইনিংস।

৪১ দশমিক ২ ওভারে ৩০০ রান পূর্ণ করা অজিরা চারশো রানের দিকে ছুটছিল। তবে শেষদিকে কিউই বোলারদের দৃঢ়তায় শেষ পর্যন্ত ৩৮৮ রানেই অলআউট হয় অস্ট্রেলিয়া।

/এনকে


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply