বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন, প্রধান নির্বাহী নিজাম উদ্দিন চৌধুরী ও জাতীয় দলের অধিনায়ক সাকিব আল হাসানের পদত্যাগ চেয়ে আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছে। রোববার (১২ নভেম্বর) তাদেরকে নোটিশটি পাঠান সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী খন্দকার হাসান শাহরিয়ার। ভারতে চলমান বিশ্বকাপে বাজে পারফরম্যান্স করায় এই নোটিশ পাঠানো হয়েছে।
নোটিশ পাওয়ার ৩০ দিনের মধ্যে পাপন-নিজাম উদ্দিনকে জাতীয় দলের কোচিং স্টাফ ও নির্বাচক কমিটি বাতিল করা এবং বিশ্বকাপে ব্যর্থতার কারণ অনুসন্ধানে তদন্ত কমিটি গঠন করার কথা বলা হয়। এছাড়া ব্যর্থতার দ্বায়ভার কাঁধে নিয়ে পাপন-নিজাম-সাকিবকে জাতির কাছে ক্ষমা চেয়ে পদত্যাগ করতে বলা হয়েছে। অন্যথায় আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার হুশিয়ারি দেয়া হয়।
নোটিশে উল্লেখ করা হয়, আইসিসি ওয়ানডে সুপার লিগে তৃতীয় স্থানে থেকে বিশ্বকাপে পা রাখে বাংলাদেশ। শুরুর আগেও শুরু থাকে। বাংলাদেশের বিশ্বকাপ মিশনের শুরু অভিজ্ঞ ওপেনার তামিম ইকবালকে বাদ দিয়ে। যদিও তিনিই সরে গিয়েছিলেন। প্রথম ম্যাচে আফগানিস্তানকে হারিয়ে শুভসূচনার পর কেউ ধারণাও করতে পারেনি এমন বাজেভাবে বিশ্বকাপ শেষ করবে বাংলাদেশ।
আরও বলা হয়, ইডেন গার্ডেন্সে নামার আগে সাকিব স্বীকার করেছিলেন এটা বাংলাদেশের স্মরণকালের সবচেয়ে বাজে বিশ্বকাপ। অর্থাৎ অধিনায়ক নিজেই দলের বাজে পারফরম্যান্স অকপটে স্বীকার করেছেন। যা অধিনায়ক হিসেবে তার ব্যর্থতাকে সুস্পষ্ট করেছে। এছাড়া সাকিব সম্পর্কে বলা হয়, টুর্নামেন্টের মাঝে দলকে ফেলে দেশে এসেছিলো অনুশীলন করতে! বিভিন্ন সময় তিনি খেলার সময় বিজ্ঞাপনের শ্যুটিং করে সমালোচিত হয়েছেন। তার কাছে জাতি আরও পেশাদারিত্ব এবং দায়িত্বশীল আচরণ প্রত্যাশা করে।
পাপন ও নিজাম উদ্দিনের বিষয়ে বলা হয়, ক্রিকেট বিশ্বে এমন কোনো বোর্ড খুঁজে পাওয়া যাবে না, যারা সেমিফাইনাল খেলার স্বপ্ন নিয়ে বিশ্বকাপ দল গড়েছিলো অথচ তাদেরই দেশসেরা ওপেনারকে দলের বাইরে রেখেছে। যে ওপেনারকে স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী ডেকে নিয়ে অবসর থেকে ফিরিয়েছেন। সে ঘটনায় তারা দলের স্বার্থে বিশ্বকাপের কথা চিন্তা করে কার্যকর ভূমিকা রাখতে ব্যর্থ হয়েছে। ওপেনার লিটন দাসও ব্যক্তিগত কারণে দুইবার টুর্নামেন্ট চলাকালীন দেশে এসেছেন। পেশাদার দলে মানবিক কারণে একবার সুযোগ দেয়া যায়, কিন্তু একাধিকবার! ম্যানেজমেন্টের এমন শিথিল মানসিকতা পেশাদার সময়ে বেমানান বলেও উল্লেখ করা হয়।
/এনকে
Leave a reply