দক্ষিণ আফ্রিকাকে লড়াই দিতে প্রস্তুত: হাথুরুসিংহে

|

ছবি: সংগৃহীত

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে শক্তিশালী দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে মাঠে নামবে বাংলাদেশ। টি-টোয়েন্টিতে প্রোটিয়াদের বিপক্ষে কখনো জিততে পারেনি টাইগাররা। তবে নিউইয়র্কের লো-স্কোরিং ম্যাচের চলমান ধারা বাংলাদেশের আশার পালে জোর হাওয়াই লাগিয়ে দিয়েছে। প্রথম ম্যাচে শ্রীলঙ্কাকে হারানোর আত্মবিশ্বাস আজ দল কিছুটা স্বস্তি নিয়ে মাঠে নামবে। এমনটাই দাবি করলেন প্রধান কোচ চান্দিকা হাথুরুসিংহে।

ম্যাচের আগের দিন সংবাদ সম্মেলনে টাইগার হেড কোচ চান্দিকা হাথুরুসিংহে বলেন, ব্যাটিংয়ের জন্য পিচ কঠিন ছিল (নিউইয়র্কে)। এটাই আমরা বেশিরভাগ ম্যাচে দেখতে পাচ্ছি। আমরা যখন খেলেছি এখানে, তখনও ব্যাটারদের জন্য অত সহজ ছিল না। তো এ কারণে দুই দলই সমতায় থেকে ম্যাচটি শুরু করবে। আমরা জানি দক্ষিণ আফ্রিকার ভালো বোলিং আক্রমণ আছে। আমরা তবুও আত্মবিশ্বাসী যে এই পিচে তাদের সঙ্গে ভালো লড়াই করতে পারবো।

হাথুরুকে আশা জুগিয়েছে নাসাউ কাউন্টি ইন্টারন্যাশনাল স্টেডিয়ামের উইকেট। উইকেটের অসম বাউন্সের কারণে সেখানে রান করাই কঠিন হয়ে গেছে। সমালোচনাও কম হচ্ছে না ড্রপ-ইন উইকেটের। তবে সেই উইকেটকেই বাংলাদেশের সুযোগ হিসেবে দেখছেন হাথুরু। তিনি বলেন, উইকেটটা ব্যাটারদের জন্য সহজ নয়। আর এ কারণে দুই দলই সমতায় থেকে ম্যাচটি শুরু করবে। দক্ষিণ আফ্রিকার বোলিং খুবই ভালো। (তবে) আমরা এই উইকেটে দারুণ লড়াই উপহার দিতে আত্মবিশ্বাসী।

প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশ জিতলেও টপ অর্ডাররা ব্যর্থ ছিলেন বরাবরের মতো। তাহলে কি আজকের ম্যাচে কোনো মনোভাবে পার্থক্য দেখছেন কোচ। যেখানে টপ অর্ডারের কাছ থেকে ভালো খেলার প্রত্যাশা কারা যেতে পারে।

এই প্রশ্নের জবাবে হাথুরুসিংহে বলেন, তা তো অবশ্যই। আরও ভালো পারফরম্যান্সের প্রত্যাশা করছি। কয়েক ম্যাচ আগেও আমাদের ১০০ রানের জুটি হয়েছে। তবে সেটা অধারাবাহিক। আমার মনে হয়, এটা আত্মবিশ্বাসের অভাবে। টি-টোয়েন্টি সময় নেয়া একটা কঠিন বিষয়। এখানে শুরু থেকেই থাকতে হবে আক্রমণাত্মক ভঙ্গিমায়। যা করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে আত্মবিশ্বাস।

হাথুরু যোগ করেন, এমন নয় যে প্রযুক্তিগত কোনো সমস্যা আছে বা ভালো প্রশিক্ষণের অভাব। অনুশীলনে ওরা ভালো করছে। কিন্তু আত্মবিশ্বাসের অভাবে তারা রানখরায় ভুগছে। তারপরও ভালো দিক হলো লিটন মাঝখানে যে খরায় ছিল সেই সময় কাটিয়ে উঠেছে। গত ম্যাচে কন্ডিশন অনুযায়ী রান করেছে। সে ভালো ব্যাটিং করেছে, এটা ইতিবাচক। অবশ্যই, আমরা পরের কয়েকটি ম্যাচে তাদের কাছ থেকে আরও বেশি প্রত্যাশা করছি।

এদিকে, রান খরায় ভুগছেন টাইগার ওপেনার সৌম্য সরকার। সবশেষ ৪ ইনিংসের মধ্যে ৩টি’তেই শূন্য রানে সাজঘরে ফেরেন বাঁহাতি এই ওপেনার। সৌম্যের প্রসঙ্গে হাথুরুসিংহে বলেন, শুধু সৌম্য না, আমরা সবার সঙ্গেই কথা বলছি। তাদের খেলা, শক্তির জায়গাগুলো, প্রতিপক্ষ, তারা কী চায়; সবকিছু নিয়েই কথা হয়। কিন্তু এরপর মাঠে গেলে, ওখানে শুধু তারাই থাকে। তাদের নিজেদের খেলাটা বুঝতে হবে আর কী অনুভব করছে সেটাও। এখানে টেকনিক্যাল কোনও ব্যাপার নেই।

হাথুরুসিংহে আরও বলেন, কেবল তার (সৌম্য) ব্যাপার না, বাকিরাও যেভাবে আউট হয়েছে, এখানে কিছু করার নেই। আমার মনে হয় তাদের স্থির হয়ে নিজেদের শক্তির জায়গা নিয়ে ভাবতে হবে, কোনটা তারা ভালো করে এমনকি না ভেবেই বের করতে হবে। যখন আপনার মধ্যে আত্মবিশ্বাস থাকে, স্বাভাবিকভাবেই আপনি অটো মুডে চলে যাবেন। আপনাকে কেবল গিয়ে নিজের শক্তির জায়গা চিন্তা করে খেলতে হবে। যেকোনও ব্যাটারের জন্যই এটা বার্তা।

/আরআইএম


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply